⟰ বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস । MCQ প্রশ্ন ও উত্তর
১. খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতে কয়টি প্রতিবাদী ধর্মের উত্থান ঘটেছিল ?
উত্তর ঃ খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতে প্রতিবাদী ধর্ম হিসাবে ৬৩ টি ধর্মের উত্থান ঘটেছিল।
২. কোন কোন গ্রন্থ থেকে বুদ্ধের জীবনকথা সম্পর্কে জানা যায় ?
উত্তর ঃ 'জাতক' , 'সূত্তনিকায়' , সিংহলী ইতিবৃত্ত' , 'মহাবংশ' , 'দ্বীপবংশ' , 'ললিতবিস্তার' , 'বুদ্ধচরিত' প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে বুদ্ধের জীবনকথা সম্পর্কে জানা যায় ।
৩. কোন স্তম্ভলিপি থেকে বুদ্ধের জীবনকথা সম্পর্কে জানা যায় ?
উত্তর ঃ অশোকের লুম্বিনি স্তম্ভলিপি থেকে বুদ্ধের জীবনকথা সম্পর্কে জানা যায় ।
৪. বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক কে ?
উত্তর ঃ বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তকের নাম হল গৌতম বুদ্ধ ।
৫. গৌতম বুদ্ধ কবে জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের জন্মকাল ৫৬৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ । মতান্তরে ৫৬৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ বলা হয়ে থাকে ।
৬. গৌতম বুদ্ধ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তর ঃ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে নেপালের তরাই অঞ্চলে কপিলাবস্তুর লুম্বিনি উদ্যানে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন ।
৭. গৌতম বুদ্ধ কোন বংশের সন্তান ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধ 'শাক্য' নামক এক ক্ষত্রিয় বংশের সন্তান ।
৮. গৌতম বুদ্ধের বাল্যনাম কী ছিল ? *
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের বাল্যনাম ছিল সিদ্ধার্থ ।
৯. গৌতম বুদ্ধের পিতার নাম কী ছিল ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের পিতার নাম ছিল শুদ্ধোধন ।
১০. গৌতম বুদ্ধের মায়ের নাম কী ছিল ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের মায়ের নাম ছিল মায়াদেবী ।
১১. গৌতম বুদ্ধ কার কাছে লালিত-পালিত হয়েছিলেন ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের মায়ের অকালমৃত্যুতে তিনি তাঁর মাসি তথা বিমাতা গৌতমীর কাছে লালিত-পালিত হয়েছিলেন ।
১২. সিদ্ধার্থ ছাড়াও গৌতম বুদ্ধের অন্যান্য নাম গুলি কী ?
উত্তর ঃ সিদ্ধার্থ ছাড়াও গৌতম বুদ্ধের অন্যান্য নাম গুলি হল শাক্যমুনি ও শাক্যসিংহ ।
১৩. গৌতম বুদ্ধের পত্নীর নাম কী ছিল ?
উত্তর ঃ গোপা বা যশোধরা ছিলেন গৌতম বুদ্ধের পত্নী ।
১৪. গৌতম বুদ্ধের পুত্রের নাম কী ছিল ? *
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের পুত্র ছিল রাহুল ।
১৫. গৌতম বুদ্ধ কত বছর বয়সে বিবাহ করেন ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধ ১৬ বছর বয়সে গোপা বা যশোধরার সাথে বিবাহ করেন।
১৬. কত বছর বয়সে গৌতম বুদ্ধের পুত্র সন্তানের জন্ম হয় ?
উত্তর ঃ ২৯ বছর বয়সে গৌতম বুদ্ধের পুত্র সন্তান হয় ।
১৭. 'মহাভিনিষ্ক্রমণ' কী ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধ সকল সাংসারিক বন্ধন ছিন্ন করে একদিন গভীর রাতে গৃহত্যাগ করেন । এই ঘটনা 'মহাভিনিষ্ক্রমণ' নামে পরিচিত ।
১৮. গৌতম বুদ্ধ কোন কোন ঘটনা দেখার পর গৃহত্যাগ করেন ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধ চারটি দৃশ্য দেখার পর সংসার ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন । এই চারটি দৃশ্য হল - (ক) জরা (খ) ব্যাধি (গ) মৃত্যু (ঘ) সৌম্যকান্তি সন্ন্যাসী ।
১৯. জাতক কী ? **
উত্তর ঃ জাতক হল একটি বৌদ্ধ গ্রন্থ । এটিতে বুদ্ধের পূর্বজন্মের কাহিনী লিপিবদ্ধ আছে ।
২০. গৌতম বুদ্ধের জন্মের প্রতীক কী ?
উত্তর ঃ পদ্ম ও ষাঁড়-কে গৌতম বুদ্ধের জন্মের প্রতীক হিসাবে ধরা হয় ।
২১. গৌতম বুদ্ধের নির্বাণলাভের প্রতীক কী ? *
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের নির্বাণলাভের প্রতীক হল বোধিবৃক্ষ ।
২২. পরিহার বা আত্মত্যাগের প্রতীক কী ?
উত্তর ঃ পরিহার বা আত্মত্যাগের প্রতীক হল ঘোড়া ।
২৩. গৌতম বুদ্ধ যে প্রথম ধর্মপ্রচার করেছিলেন তার প্রতীক কী ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের প্রথম ধর্মপ্রচারের প্রতীক হল ধর্মচক্র ।
২৪. গৌতম বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের প্রতীক কী ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের প্রতীক হল স্তূপ ।
২৫. গৃহত্যাগের পর গৌতম বুদ্ধ প্রথম শাস্ত্র অধ্যায়ন করেন কার কাছে ?
উত্তর ঃ গৃহত্যাগের পর গৌতম বুদ্ধ প্রথম শাস্ত্র অধ্যায়ন করেন বৈশালির শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত আলারা কালামের কাছে । এর পরে তিনি রুদ্রক রামপুত্রের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন ।
২৬. গৌতম বুদ্ধ কোথায় পরমজ্ঞান বা বোধি লাভ করেন ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধ গয়ার কাছে নৈরঞ্জনা নদীর তীরে উরুবিল্ব গ্রামে পিপল ( অশ্বত্থ ) গাছের নীচে দীর্ঘকাল যাবৎ তপস্যা করার পর পরমজ্ঞান বা বোধি লাভ করেন ।
২৭. বোধি লাভের পর গৌতম বুদ্ধের নাম কী হয় ?
উত্তর ঃ বোধি লাভের পর গৌতম বুদ্ধের নাম হয় বুদ্ধদেব বা তথাগত ।
২৮. 'তথাগত' শব্দের অর্থ কী ? **
উত্তর ঃ 'তথাগত' শব্দের অর্থ হল যিনি পরম সত্যের সন্ধান পেয়েছেন ।
২৯. গৌতম বুদ্ধ যে অশ্বত্থ বা পিপল গাছের নীচে তপস্যা করেছিলেন তাকে কী বলে ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধ যে অশ্বত্থ গাছের নীচে তপস্যা করেছিলেন তাকে 'বোধিবৃক্ষ' বলে ।
৩০. 'বুদ্ধগয়া' কাকে বলে ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধ যে স্থানটিতে বোধি লাভ করেছিলেন তাকে 'বুদ্ধগয়া' বলা হয় ।
৩১. গৌতম বুদ্ধ প্রথম কোথায় ধর্মপ্রচার করেছিলেন ? *
উত্তর ঃ বারাণসীর ঋষিপত্তনের ( বর্তমান নাম সারনাথ ) মৃগদাভে গৌতম বুদ্ধ প্রথম ধর্মপ্রচার করেছিলেন ।
৩২. গৌতম বুদ্ধের প্রথম কতজন শিষ্য ছিল ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের প্রথম পাঁচ জন শিষ্য ছিল ।
৩৩. গৌতম বুদ্ধের প্রথম পাঁচজন শিষ্যের নাম কী যাদের কাছে তিনি প্রথম ধর্ম প্রচার করেছিলেন ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের প্রথম পাঁচজন শিষ্যের নাম হল কৌন্ডিণ্য , অশ্বজিৎ , বাষ্প , মহানাম , ভদ্রিক ।
৩৪. 'পঞ্চভিক্ষু' কাদের বলে ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের প্রথম পাঁচজন শিষ্যকে 'পঞ্চভিক্ষু' নামে আখ্যায়িত করা হয় ।
৩৫. 'ধর্মচক্রপ্রবর্তন' কাকে বলে ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধ প্রথম তাঁর পাঁচজন শিষ্যের মধ্যে নিজের ধর্মমত প্রচার করেন , বুদ্ধের এই প্রথম ধর্মপ্রচারকে বৌদ্ধধর্মে 'ধর্মচক্রপ্রবর্তন' বলা হয় ।
৩৬. প্রথম বৌদ্ধ সংঘ কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তর ঃ যশ নামে জনৈক ব্যক্তি পঞ্চাশজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকে নিয়ে প্রথম বৌদ্ধ সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন ।
৩৭. মগধের কোন কোন রাজা গৌতম বুদ্ধের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ?
উত্তর ঃ মগধের রাজা বিম্বিসার ও অজাতশত্রু গৌতম বুদ্ধের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ।
৩৮. কোশলের কোন রাজা গৌতম বুদ্ধের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ? *
উত্তর ঃ কোশলরাজ প্রসেনজিত ও তাঁর স্ত্রী মল্লিকা গৌতম বুদ্ধের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ।
৩৯. ব্যবসায়ী অনাথপিন্ডক কার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ?
উত্তর ঃ ব্যবসায়ী অনাথপিন্ডক গৌতম বুদ্ধের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ।
৪০. কবে এবং কোথায় গৌতম বুদ্ধের মহাপ্রয়াণ ঘটে ?
উত্তর ঃ আনুমানিক ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ৮০ বছর বয়সে গৌতম বুদ্ধের মহাপ্রয়াণ ঘটে মল্ল রাজ্যের রাজধানী কুশিনগরে ।
৪১. 'মহাপরিনির্বাণ' কী ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের দেহত্যাগের ঘটনাকে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে 'মহাপরিনির্বাণ' বলা হয় ।
৪২. চারটি আর্যসত্য কী কী ?
উত্তর ঃ আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য গৌতম বুদ্ধ তাঁর শিষ্যদের চারটি আর্যসত্যের কথা বলেছেন । এগুলি হল - (ক) জগৎ দুঃখময় (খ) দুঃখের কারন আছে (গ) দুঃখ নিবারণ করা সম্ভব (ঘ) দুঃখ থেকে নিবৃত্তি পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পথ বা মার্গ আছে ।
৪৩. কে 'মধ্যপন্থা' অবলম্বনের কথা বলেছেন ?
উত্তর ঃ চরম ভোগবিলাস এবং চরম কৃচ্ছ্রসাধন - এদুটির কোনটিই না করে এর মধ্যবর্তী একটি পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে জীবনযাপন করা উচিত । গৌতম বুদ্ধ এই 'মধ্যপন্থা' অবলম্বনের কথা বলেছেন ।
৪৪. অষ্টাঙ্গিক মার্গ কী ?
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধ দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আটটি আদর্শের কথা বলেছেন , এগুলিকে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলা হয় । এই আটটি মার্গ হল - (ক) সৎ চিন্তা (খ) সৎ বাক্য (গ) সৎ কর্ম (ঘ) সৎ চেষ্টা (ঙ) সৎ জীবিকা (চ) সৎ সংকল্প (ছ) সৎ দৃষ্টি (জ) সৎ সমাধি ।
৪৫. নির্বাণ শব্দের অর্থ কী ? *
উত্তর ঃ নির্বাণ শব্দের অর্থ হল 'নিভে যাওয়া' ।
৪৬. নির্বাণ কী ?
উত্তর ঃ দুঃখ-কষ্ট এবং জন্মমৃত্যুর যে কালচক্র তা থেকে মুক্তি লাভ করার নামই হল নির্বাণ ।
৪৭. বৌদ্ধধর্মের 'পঞ্চশীল' নীতি কী ?
উত্তর ঃ (১) ব্যাভিচারী না হওয়া (২) সুরাপান না করা (৩) মিথ্যা কথা না বলা (৪) অন্যের জিনিসে লোভ না করা (৫) অন্যের ওপর হিংসা না করা - বৌদ্ধধর্মের এই পাঁচটি নীতিকে 'পঞ্চশীল' নীতি বলে ।
৪৮. প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি সম্পর্কে লেখ ।
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর পর আনুমানিক ৪৮৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অজাতশত্রুর আমলে মগধের রাজধানী রাজগৃহের সপ্তপর্ণি গুহাতে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল । এর সভাপতি ছিলেন সন্ন্যাসী মহাকাশ্যপ । প্রথম বৌদ্ধ সংগীতিতে গৌতম বুদ্ধের বাণীগুলিকে একত্রিত করে 'ত্রিপিটক' রচনা করা হয় । সূত্তপিটক সংকলিত করেছিলেন আনন্দ এবং বিনয় পিটক সংকলিত করেছিলেন উপালি ।
৪৯. দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি সম্পর্কে লেখ ।
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর পর আনুমানিক ৩৮৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটি শিশুনাগ বংশের রাজা কালাশোক বা কাকবর্ণের আমলে তাঁর রাজধানী বৈশালিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল । এটি বৌদ্ধভিক্ষু সাবাকামীর সভাপতিত্বে হয়েছিল। দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতিতে গৌতম বুদ্ধের সমর্থকরা 'থেরবাদী' ও 'মহাসংঘিকা' নামে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায় ।
৫০. তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি সম্পর্কে লেখ ।
উত্তর ঃ ২৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মৌর্য সম্রাট অশোকের আমলে তাঁর রাজধানী পাটলিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল । তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতির সভাপতি ছিলেন মোগলিপুত্ততিসার ।
৫১. চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি সম্পর্কে লেখ ?
উত্তর ঃ ৭২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কুষাণরাজা কনিস্কের আমলে কাশ্মীরের কুন্দলবন বিহারে চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ।এর সভাপতিত্ব করেছিলেন বসুমিত্র । এর সহসভাপতি ছিলেন অশ্বঘোষ । চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল এই সংগীতির পর হীনযান ও মহাযানদের মধ্যে বিবাদের অবসান ঘটে এবং মহাযান সম্প্রদায় জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করে ।
৫২. থেরবাদীদের নেতা কে ছিলেন ?
উত্তর ঃ থেরবাদীদের নেতা ছিলেন মহাকাত্যায়ন ।
৫৩. মহাসংঘিকা -দের নেতা কে ছিলেন ?
উত্তর ঃ মহাসংঘিকা -দের নেতা ছিলেন মহাকাশ্যপ ।
৫৪. বৌদ্ধদের বজ্রযান শাখার মূল বিষয় কী ছিল ?
উত্তর ঃ বৌদ্ধদের বজ্রযান শাখার মূল বিষয় ছিল তন্ত্র-মন্ত্র ও জাদুবিদ্যা ।
৫৫. 'বুদ্ধচরিত' কে রচনা করেন ? *
উত্তর ঃ বুদ্ধচরিত রচনা করেন অশ্বঘোষ ।
৫৬. বৌদ্ধধর্মে শূন্যতাবাদের প্রবর্তক কে ? *
উত্তর ঃ বৌদ্ধধর্মে শূন্যতাবাদের প্রবর্তক হলেন নাগার্জুন ।
৫৭. নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কে স্থাপন করেন ? ***
উত্তর ঃ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন গুপ্ত বংশীয় শাসক কুমারগুপ্ত ।
৫৮. ওদন্তপুরী মহাবিহার কে স্থাপন করেন ?
উত্তর ঃ পালশাসক গোপাল ওদন্তপুরী মহাবিহার স্থাপন করেন ।
৫৯. বিক্রমশীলা কে স্থাপন করেন ? **
উত্তর ঃ বিক্রমশীলা স্থাপন করেন পালশাসক ধর্মপাল ।
৬০. সোমপুরী বিশ্ববিদ্যালয় কে স্থাপন করেন ?
উত্তর ঃ সোমপুরী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন পালশাসক ধর্মপাল ।
৬১. জগদ্দল মহাবিহার কে স্থাপন করেন ?
উত্তর ঃ জগদ্দল মহাবিহার স্থাপন করেন পালশাসক রামপাল ।
৬২. বলভী বিশ্ববিদ্যালয় কে স্থাপন করেন ?
উত্তর ঃ বলভী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন মৈত্রশাসক ভট্টারক ।
৬৩. বৌদ্ধধর্মে অভয় মুদ্রা কোন বিষয়কে ব্যক্ত করে ?
উত্তর ঃ বৌদ্ধধর্মে অভয় মুদ্রা নির্ভয়তা , সুরক্ষা , শান্তি , দয়াশীলতাকে ব্যক্ত করে ।
৬৪. বৌদ্ধধর্মে বরদ মুদ্রা কীসের প্রতীক ?
উত্তর ঃ বৌদ্ধধর্মে বরদ মুদ্রা দান , ত্যাগ , দয়া ও ন্যায়ের প্রতীক ।
৬৫. কার সময়ে বৌদ্ধধর্ম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ? **
উত্তর ঃ মৌর্য সম্রাট অশোকের আমলে বৌদ্ধধর্ম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ।
৬৬. কে বৌদ্ধধর্মকে "হিন্দু ধর্মের একটি সংস্করণ মাত্র" বলেছেন ?
উত্তর ঃ ড. রোমিলা থাপার বৌদ্ধধর্মকে "হিন্দু ধর্মের একটি সংস্করণ মাত্র" বলেছেন ।
৬৭. "Light of Asia" কাকে বলে ? ***
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধ -কে "Light of Asia" বলা হয় ।
৬৭. বৌদ্ধধর্মের টীকাগুলি কী নামে পরিচিত ?
উত্তর ঃ বৌদ্ধধর্মের টীকাগুলি 'বিভাষাশাস্ত্র' নামে পরিচিত ।
৬৮. বৌদ্ধদের প্রথম বিহার বা সংঘারামের নাম কী ? *
উত্তর ঃ বৌদ্ধদের প্রথম বিহার বা সংঘারামের নাম হল 'জেতবন বিহার' ।
৬৯. 'প্রমাণসমুচ্চয়' কার লেখা ?
উত্তর ঃ 'প্রমাণসমুচ্চয়' রচনা করেন দিঙনাগাচার্য ।
৭০. বিক্রমশীলা মহাবিহারের একজন বাঙালি অধ্যক্ষের নাম লেখ ? *
উত্তর ঃ বিক্রমশীলা মহাবিহারের একজন বাঙালি অধ্যক্ষের নাম হল অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ।
৭১. পৃথিবীর বৃহত্তম বৌদ্ধ মন্দির কোথায় আছে ? ***
উত্তর ঃ পৃথিবীর বৃহত্তম বৌদ্ধ মন্দিরটি ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত ।
৭২. 'অভিধর্মকোষ' কার লেখা ? *
উত্তর ঃ 'অভিধর্মকোষ' গ্রন্থটি রচনা করেছেন বসুবন্ধু ।
৭৩. বৌদ্ধধর্মের উপাসনার স্থানটির নাম কী ? *
উত্তর ঃ বৌদ্ধধর্মের উপাসনার স্থানটির নাম চৈত্য ।
৭৪. বৌদ্ধ শাস্ত্রগুলি কোন ভাষায় রচিত ? *
উত্তর ঃ বৌদ্ধ শাস্ত্রগুলি পালি ও প্রাকৃত ভাষায় রচিত ।
৭৫. বুদ্ধ কথার অর্থ কী ? **
উত্তর ঃ বুদ্ধ কথার অর্থ হল একজন জ্ঞানদ্বীপ ( The enlightened one ) .
৭৬. ভারতের কোন রাজ্যে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত ?
উত্তর ঃ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে ।
৭৭. কোন রাজ্যটিকে বৌদ্ধধর্মের "শৈশবের লালনক্ষেত্র" বলা হয় ? **
উত্তর ঃ উত্তরপ্রদেশকে বৌদ্ধধর্মের "শৈশবের লালনক্ষেত্র" বলা হয় ।
৭৮. বৌদ্ধধর্মের প্রতিমোক্ষ বলতে কী বঝানো হয় ?
উত্তর ঃ বৌদ্ধধর্মের প্রতিমোক্ষ বলতে বঝানো হয় সংঘের নিয়মাবলি ।
৭৯. হিউয়েন সাঙ কোথায় তাঁর বিদ্যাচর্চা করেছিলেন ?
উত্তর ঃ হিউয়েন সাঙ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বিদ্যাচর্চা করেছিলেন ।
৮০. বৌদ্ধধর্ম মতে সকল দুঃখের কারন কী ? ***
উত্তর ঃ বৌদ্ধধর্ম মতে সকল দুঃখের কারন হল তৃষ্ণা ।
৮১. গৌতম বুদ্ধের গুরু কে ছিলেন ? ***
উত্তর ঃ গৌতম বুদ্ধের গুরু ছিলেন আলরা কামা ।
24mcq
24 mcq
1 Comments
Well!👍
ReplyDelete