১. মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা বলতে কি বোঝ?
উত্তর ঃ শ্রমিক আন্দোলনে সাম্যবাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে ব্রিটিশ সরকার মুজাফফর আহমেদ, পি সি যোসি, ধরণী গোস্বামী, বেঞ্জামিন ব্রাডলি, ফিলিপ স্প্র্যাট সহ ৩৩ জন কমিউনিস্ট নেতাকে গ্রেফতার করে ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ। এর ফলে শুরু হয় মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা। এই মামলার রায়ে অধিকাংশ বন্দি লোক দোষী বলে গণ্য হয়। এই মামলার পরে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়।
২.
মিরাট
ষড়যন্ত্র
মামলার
উদ্দেশ্য
কি
ছিল?
উত্তর ঃ শ্রমিক আন্দোলনকে নিষ্ক্রিয় করা এবং ভারতে বামপন্থীদের অগ্রগতি রোধ করাই ছিল মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার মূল উদ্দেশ্য।
৩. মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় কতজন শ্রমিক নেতা গ্রেফতার হয়েছিলেন?
উত্তর ঃ ৩৩ জন।
৪. দুজন বিদেশি অভিযুক্তের নাম লেখ যারা মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িত ছিলেন?
উত্তর ঃ ফিলিপ স্প্র্যাট ও বেঞ্জামিন ব্রাডলি।
৫. মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় কোন দলের কার্যকলাপকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল?
উত্তর ঃ ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে ২৩ জুলাই ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি এবং তার সকল শাখাকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
৬. ‘বিভাজন ও শাসননীতি’ কি?
উত্তর ঃ ধর্মীয় ভিত্তিতে ভারতীয় হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে ভারতে দীর্ঘদিন সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শক্তিকে ধরে রাখার জন্য ইংরেজরা যে নীতি অবলম্বন করেছিল, তা ‘বিভাজন ও শাসননীতি’ নামে পরিচিত।
৭. ভারতে কে ‘বিভাজন ও শাসননীতি’ প্রয়োগ করেছিলেন?
উত্তর ঃ রোমে প্রচলিত এই নীতিকে ভারতের পাঞ্জাবে প্রথম প্রচার করেছিলেন লর্ড লরেন্স।
৮. সিমলা সাক্ষাৎকারের সময় প্রতিনিধি দলের নেতা কে ছিলেন?
উত্তর ঃ আগা খান।
৯. সিমলা দৌত্য বা সিমলা ডেপুটেশন কাকে বলে?
উত্তর ঃ আগা খানের নেতৃত্বে ৩৫ জন সদস্যের একটি দল ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর আলীগড় কলেজের অধ্যক্ষ আর্চিবোল্ড রচিত এক স্মারকলিপি মারফত মুসলিম সমাজের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য সিমলাতে ভাইসরয় লর্ড মিন্টোর সাথে সাক্ষাৎ করে একটি প্রতিবেদন জমা দেন, যেটিকে সিমলা দৌত্য বা সিমলা ডেপুটেশন বলা হয়।
১০. মুসলিম লিগ কবে এবং কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর ঃ ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায়।
১১. মুসলিম লিগের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তর ঃ আগা খান।
১২. মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠার কারণ লেখ।
উত্তর ঃ (ক) ব্রিটিশ সরকারের প্রতি মুসলিম সমাজের সমর্থন সুনিশ্চিত করা (খ) মুসলিম সমাজের স্বার্থ রক্ষা করা এবং কংগ্রেসের ক্ষমতা কমিয়ে আনা।
১৩. বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কবে?
উত্তর ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে।
১৪. ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের লখনউ কংগ্রেসের গুরুত্ব লেখ।
উত্তর ঃ কংগ্রেসের নরমপন্থী এবং চরমপন্থিদের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানো। যাতে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১৫. কবে কাদের মধ্যে লখনউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
উত্তর ঃ কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের মধ্যে লখনউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে।
১৬. লখনউ চুক্তির শর্ত কি ছিল?
উত্তর ঃ (ক) মুসলিম লিগের পৃথক নির্বাচনের নীতিকে কংগ্রেস স্বীকার করবে। (খ) কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভায় মুসলিম সদস্যের অবস্থান নিশ্চিত করা। (খ) মুসলিম লিগ কংগ্রেসের স্বরাজ নীতি মেনে নেবে।
১৭. লখনউ চুক্তির গুরুত্ব লেখ।
উত্তর ঃ লখনউ চুক্তির দ্বারা স্বায়ত্তশাসন ও শাসনতান্ত্রিক দাবিদাওয়া নিয়ে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
১৮. খিলাফৎ আন্দোলনের দুজন নেতার নাম লেখ।
উত্তর ঃ মহম্মদ আলি ও সৌকত আলি।
১৯. চৌরিচৌরার ঘটনা বলতে কি বোঝ?, অথবা, গান্ধীজী অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেছিলেন কেন?
উত্তর ঃ উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার চৌরিচৌরা নামক গ্রামে উত্তেজিত জনতা ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ৫ ফেব্রুয়ারি থানায় অগ্নিসংযোগ করে। যার ফলে ২২ জন পুলিশের মৃত্যু হয়েছিল। যা চৌরিচৌরা ঘটনা নামে পরিচিত। গান্ধীজী অহিংস পদ্ধতিতে আন্দোলন করছিলেন কিন্তু এই ঘটনার জেরে গান্ধীজী প্রচণ্ড মর্মাহত হয়েছিলেন। অহিংস পদ্ধতিতে চলা এই আন্দোলনে হিংসার জন্ম হলে গান্ধীজী ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
২০. কবে, কেন সাইমন কমিশন গঠিত হয়?
উত্তর ঃ ভারতীয়দের স্বার্থে, সাংবিধানিক প্রয়োজনে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে সাইমন কমিশন গঠিত হয়েছিল।
২১. ভারতীয়দের সাইমন কমিশন বর্জন করার কারণ কি ছিল?
উত্তর ঃ সাইমন কমিশনে কোন ভারতীয় সদস্য না থাকায় ভারতীয়রা সাইমন কমিশন বর্জন করেছিল।
১. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ১
২. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ২
৩. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ৪
৪. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ৫
24mcq
0 Comments