হ্যালো বন্ধুরা, আজ আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করে দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পঞ্চম অধ্যায়ের ৫ম পার্টের প্রশ্নগুলি। আগের চারটি পার্টের প্রশ্নগুলি পড়ার জন্য নীচে লিঙ্ক পাবে সেখান থেকে তোমরা আগের প্রশ্নগুলি পড়ে নিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করো। তাহলে আজকের প্রশ্নগুলি দেখা যাক -
১. ভারতে সাম্রাজ্যবিস্তারের জন্য লর্ড ডালহৌসি কোন কোন উপায় অবলম্বন করেছিলেন?
উত্তর ঃ যুদ্ধের দ্বারা রাজ্যজয়, কুশাসনের অজুহাতে রাজ্য দখল, স্বত্ববিলোপ নীতির প্রয়োগে রাজ্যজয়।
২. স্বত্ববিলোপ নীতি কে কবে চালু করেছিলেন?
উত্তর ঃ ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ডালহৌসি।
৩. স্বত্ববিলোপ নীতি বলতে কি বোঝ?
উত্তর ঃ কোন দেশীয় রাজ্যের রাজার যদি পুত্র সন্তান না থাকে তাহলে সেই রাজা কোন দত্তক পুত্র গ্রহণ করতে পারবে না এবং সেই রাজ্যটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে। লর্ড ডালহৌসি প্রবর্তিত এই নীতি স্বত্ববিলোপ নীতি নামে পরিচিত।
৪. স্বত্ববিলোপ নীতির ফলে কোন কোন রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়েছিল?
উত্তর ঃ সাতারা, সম্বলপুর, নাগপুর, উদয়পুর, ঝাসি, তাঞ্জোর ইত্যাদি।
৫. কোন নীতির ফলে নানা সাহেবের বৃত্তি এবং পেশোয়া উপাধি বাতিল হয়েছিল?
উত্তর ঃ স্বত্ববিলোপ নীতির ফলে।
৬. তোপধ্বনি বলতে কি বোঝ?
উত্তর ঃ ব্রিটিশ শাসনের সময় যখন কোন দেশীয় রাজ্যের রাজা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানীতে আসতেন তখন তাকে সম্মান জানানোর জন্য যে রীতি প্রচলিত ছিল তাকে তোপধ্বনি বলে। সাধারণভাবে একজন দেশীয় রাজার ক্ষেত্রে ৩ থেকে ২১ বার তোপধ্বনি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।
৭. হায়দ্রাবাদ রাজ্য কবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল?
উত্তর ঃ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে।
৮. কাকে, কেন ভারতের লৌহমানব বলে?
উত্তর ঃ স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে ভারতের লৌহমানব বলা হয়। কারণ তিনি ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির জন্য এক বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং অনমনীয় মনোভাব গ্রহণ করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি বল প্রয়োগ করেও অর্থাৎ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেও অনেক রাজ্যকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তার এই চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্য জার্মান নেতা বিসমার্ক-এর সাথে তুলনা করে তাকে ভারতের লৌহমানব বলা হয়।
৯. TISCO –এর পুরো নাম কি?
উত্তর ঃ Tata Ion and Steel Company.
১০. IISCO –এর পুরো নাম কি?
উত্তর ঃ Indian Iron and Steel Company.
১১. কবে, কোথায় এবং কার উদ্যোগে টাটা আয়রন এন্ড স্টিল কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর ঃ ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে জামসেদজি টাটার উদ্যোগে টাটা আয়রন এন্ড স্টিল কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জামশেদপুরে।
১২. কবে কোথায় ভারতের প্রথম কয়লাখনি আবিষ্কৃত হয়েছিল?
উত্তর ঃ ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে রানিগঞ্জে।
১৩. খেদা সত্যাগ্রহ বলতে কি বোঝ।
উত্তর ঃ ১৯১৭-১৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ দুর্ভিক্ষ এবং শস্যহানির ফলে গুজরাটের খেদা জেলার কৃষকদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় তারা সরকারের কাছে খাজনা মকুবের আবেদন জানায়। কিন্তু সরকার তাদের কোন কথা শোনেনি। উল্টে তাদের ওপর বিভিন্ন জুলুম করতে থাকে। এই অবস্থায় গান্ধীজী ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ খেদা জেলার কৃষকদের নিয়ে একটি সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেছিলেন যাকে খেদা সত্যাগ্রহ বলা হয়।
১৪. কালিপরাজ এবং উজালিপরাজ বলতে কি বোঝ।
উত্তর ঃ গুজরাটের সুরাত জেলার ৬০ শতাংশ অনুন্নত সম্প্রদায়ের কালো মানুষকে কালিপরাজ বলা হয় এবং বাকি সাদা চামড়ার মানুষদের উজালিপরাজ বলা হয়ে থাকে।
১৫. কবে কার নেতৃত্বে বারদৌলি সত্যাগ্রহ হয়েছিল?
উত্তর ঃ বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে বারদৌলি সত্যাগ্রহ হয়েছিল। এই আন্দোলনে তিনি গ্রামের শ্রমজীবী মানুষদের কর না দেওয়ার জন্য উদবুদ্ধ করেছিলেন।
১৬. বারদৌলি সত্যাগ্রহ বলতে কি বোঝ।
উত্তর ঃ ব্রিটিশ সরকার গুজরাটের বারদৌলিতে রাজস্বের হার প্রথমে ৩০ শতাংশ এবং পরে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছিল। এর জন্য এখানকার হিন্দু এবং মুসলমান কৃষকরা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে খাজনা বন্ধের দাবিতে যে আন্দোলন করেছিলেন তাকে বারদৌলি সত্যাগ্রহ বলা হয়।
১৭. বারদৌলি সত্যাগ্রহের দুজন নেতার নাম লেখ।
উত্তর ঃ বল্লভভাই প্যাটেল এবং কুনয়ারজি মেহতা।
১৮. বিংশ শতাব্দীর কোন সময়ে বাংলায় মন্বন্তর হয়েছিল?
উত্তর ঃ ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ( ১৩৫০ বঙ্গাব্দে)
১৯. পঞ্চাশের মন্বন্তর কাকে বলে?
উত্তর ঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় খাদ্য উৎপাদন কমে গিয়েছিল এবং বার্মার পতনের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যে টূকু চাল বাজারে ছিল তা নিয়ে শুরু হয়েছিল কালোবাজারি। ফলে খাদ্যের অভাবে মৃত্যু হয়েছিল বাংলার লক্ষ্য লক্ষ্য সাধারণ মানুষের। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে এই দুর্ভিক্ষ ১৩৫০ বঙ্গাব্দে হয়েছিল বলে একে 'পঞ্চাশের মন্বন্তর' বলা হয়।
২০. পঞ্চাশের মন্বন্তরের দুটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর ঃ (ক) বার্মার পতনের ফলে সেখান থেকে চাল আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটা এবং (খ) খাদ্যশস্যের কালোবাজারি ফলে মূল্যবৃদ্ধি।
২১. Churchill's Secret War নামক গ্রন্থটি কার লেখা।
উত্তর ঃ মধুশ্রী মুখার্জি।
২২. বাংলায় পঞ্চাশের মন্বন্তরের প্রেক্ষাপটের নিরিখে সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন উপন্যাসটি রচনা করেছেন?
উত্তর ঃ অশনি সংকেত।
২৩. ক্যাম্বেল কমিশন কে, কেন গঠন করেছিলেন? এই কমিশনের লক্ষ্য কি ছিল?
উত্তর ঃ স্যার জর্জ ক্যাম্বেল -এর নেতৃত্বে দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধকল্পে ক্যাম্বেল কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল প্রতিটি জীবনের সুরক্ষা (To save every life).
আরও পড়ুন ঃ
১. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ১
২. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ২
৩. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ৩
৪. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ৪
24mcq
0 Comments