১. নেহরু রিপোর্ট বলতে কি বোঝ?
উত্তর ঃ ভারতীয়রা নিজেদের সংবিধান তৈরি করতে পারবে, এই কথাটি প্রমাণ করার জন্য মোতিলাল নেহরুর নেতৃত্বে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে একটি সর্বদলীয় কমিটির ওপরে ভারতের ভবিষ্যৎ সংবিধানের খসড়া তৈরির দায়িত্বভার দেওয়া হয়। ওই বছরের শেষের দিকে এই কমিটি সংবিধানের একটি খসড়া প্রস্তুত করে, যা নেহরু রিপোর্ট নামে পরিচিত।
২. কে, কবে চোদ্দ দফা দাবি পেশ করেছিলেন?
উত্তর ঃ মহম্মদ আলি জিন্নাহ ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে চোদ্দ দফা দাবি পেশ করেছিলেন।
৩. দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কারা যোগদান করেছিলেন?
উত্তর ঃ গান্ধীজী এবং সরোজিনী নাইডু।
৪. সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি বলতে কি বোঝ?
উত্তর ঃ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য ভারতীয়দের মুসলমান, শিখ, অ্যাংলো ইন্ডিয়ান, ভারতীয় খ্রিস্টান প্রভৃতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত হিন্দু –এই দুই স্মপ্রদায়ে বিভক্ত করে আইনসভায় পৃথক নির্বাচনের নীতি ঘোষণা করেছিলেন। এই নীতিকে সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি বলা হয়।
৫. কে কবে সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি ঘোষণা করেছিলেন?
উত্তর ঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি ঘোষণা করেছিলেন।
৬. পুনা চুক্তি বলতে কি বোঝ?
উত্তর ঃ হিন্দুদের যৌথ নির্বাচনের নীতি স্বীকার করা এবং সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতির মাধ্যমে স্বীকৃত আসনের চেয়ে তপশিলি জাতির দ্বিগুণ আসন সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ সেপ্টেম্বর গান্ধীজী এবং তপশিলি হিন্দু সমাজের বি আর আম্বেদকরের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তাকে পুনা চুক্তি বলা হয়।
৭. কত খ্রিস্টাব্দে পুনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
উত্তর ঃ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ সেপ্টেম্বর।
৮. পুনা চুক্তি কেন হয়েছিল?
উত্তর ঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং অনুন্নত হিন্দুদের পৃথক নির্বাচনের নীতি পরিত্যাগ করার উদ্দেশ্যে এই চুক্তি হয়েছিল ১৯৩২ সালে। এই চুক্তির শর্তে গান্ধীজী কিছুটা সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। যার জন্য তিনি অনশন ভঙ্গ করেছিলেন।
৯. সর্বপ্রথম কোথায় পৃথক পাকিস্তান গঠনের দাবি জানানো হয়?
উত্তর ঃ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঞ্জাবি ছাত্র চৌধুরী রহমত আলি এবং তার অনুগামীরা ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম পৃথক পাকিস্তান গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন।
১০. Now or Never নামক গ্রন্থটি কার লেখা।
উত্তর ঃ চৌধুরী রহমত আলি।
১১. কে, কবে সর্বপ্রথম পাকিস্তান কথাটি ব্যবহার করেছিলেন?
উত্তর ঃ চৌধুরী রহমত আলি ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে তার Now or Never নামক গ্রন্থে সর্বপ্রথম পাকিস্তান কথাটি ব্যবহার করেছিলেন।
১২. পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের দাবি কোন কোন রাজ্যের সমন্বয়ে গড়ে ওঠার কথা বলা হয়?
উত্তর ঃ পাঞ্জাব (P), আফগান প্রদেশ (A), কাশ্মীর (K), সিন্ধু (S), বেলুচিস্তান (TAN) প্রভৃতি।
১৩. মাহাদ মার্চ বলতে কি বোঝ?
উত্তর ঃ মহারাষ্ট্রের কোবালা জেলার চৌদার জলাশয়ের জল অস্পৃশ্য সম্প্রদায়ের মানুষের ব্যবহারের দাবিতে দলিত নেতা বি আর আম্বেদকর ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ দশ হাজার মানুষের সমাবেশে একটি ‘মাহাদ সত্যাগ্রহ’ আন্দোলন করেন। এই আন্দোলনকে মাহাদ মার্চ বলা হয়। এই আন্দোলনে জনতা আম্বেদকরকে ‘বাবা সাহেব’ বলে অভিহিত করেন।
১৪. ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে কোন সরকার ‘মন্দিরে প্রবেশ সংক্রান্ত আইন’ পাশ করে?
উত্তর ঃ বোম্বাইয়ের প্রাদেশিক কংগ্রেস সরকার। এই আইন পাশ হওয়ার পরে অস্পৃশ্য সম্প্রদায় নির্দ্বিধায় মন্দিরে প্রবেশের অধিকার পেয়েছিল।
১৫. কেরালায় কবে ‘মন্দির প্রবেশ দিবস’ পালিত হয়?
উত্তর ঃ ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর।
১৬. ঔপনিবেশিক ভারতে ‘দেশীয় রাজ্য’ বলতে কি বোঝ?
উত্তর ঃ ভারতের স্বাধীনতা লাভের আগে পর্যন্ত ভারতীয় ভূখণ্ডে ব্রিটিশ শাসনের বাইরে মোট ৫৬৫ টি স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল। এই রাজ্যগুলিকেই দেশীয় রাজ্য বলা হয়। এগুলি ভারতীয় ভূখণ্ডের ৪৮% এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল। এগুলির মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছিল হায়দ্রাবাদ, জুনাগড়, কাশ্মীর, মহীশুর ইত্যাদি।
১৭. কে, কবে ‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি’ চালু করেছিলেন?
উত্তর ঃ ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি।
১৮. অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির দুটি শর্ত উল্লেখ করো।
উত্তর ঃ (ক) দেশীয় রাজ্যে ব্রিটিশ সেনার অবস্থান (খ) ব্রিটিশ ব্যতীত অন্য কোন ইউরোপীয় কর্মচারী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন ঃ
১. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ১
২. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ২
৩. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায়꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন꘡পার্ট ৩
৪. দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস꘡পঞ্চম অধ্যায় ꘡ঔপনিবেশিক ভারতে শাসন ꘡পার্ট ৫
24mcq
0 Comments